রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত রাজধানীতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারী সন্মানিত শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে এক মতবিনিময় সভা, প্রাম্যান্যচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আমীরে জামায়াত ডা.শফিকুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করবেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে কুটনৈতিক, জাতীয় নেতৃবৃন্দ, আলেম-উলামা, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিগণ এবং শহীদ পরিবারের সন্মানিত সহস্রাধিক সদস্য উপস্থিত থাকবেন বলে জামায়াতে ইসলামী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এদিকে আজ রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মিরপুর উত্তর থানা শাখা আয়োজিত এক সহযোগি সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ২৮ অক্টোবরের পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আওয়ামী- বাকশালীরা তাদের হত্যার রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে দেশের স্বাধীনতা- স্বার্বভৌমত্ব ও জাতিস্বত্ত্বার মর্মমূলে আঘাত করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
থানা আমীর মনিরুল ইসলাম মৃধার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম রিমনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারী ও মিরপুর জোন পরিচালক মাহফুজুর রহমান। বক্তব্য রাখেন শাহ আলী থানা আমীর ডা: মাঈন উদ্দিন ও থানা নায়েবে আমীর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এম এম লিয়াকত আলী প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর রাজপথে নারকীয় হত্যাকাণ্ড নিছক কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা হত্যাকাণ্ড ছিলনা বরং তা ছিল আমাদের দেশ ও জাতিস্বত্ত্বা বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমেই আমরা আমাদের দেশের ওপর কার্যত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় একটি আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সেবাদাস সরকার। ফলে দেশে ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-জনতার দাবী ছিল একটা বৈষম্যহীন ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গড়ার। জামায়াতে ইসলামী দেশকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
এদিকে কাফরুল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তালতলা পূর্ব ওয়ার্ডের সভাপতি ও থানা কর্মপরিষদ সদস্য সালাউদ্দিন শাহিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও কাফরুল দক্ষিণ থানা আমীর অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, শেরেবাংলা নগর উত্তর থানা আমীর আব্দুল আউয়াল আজম ও কাফরুল দক্ষিণ থানা সেক্রেটারি মু. আবু নাহিদসহ প্রমুখ।
অপরদিকে রাজধানীর ফার্মগেটে কেন্দ্র ঘোষিত চলমান বায়তুলমাল ও সাংগঠনিক পক্ষ উপলক্ষে শেরেবাংলা নগর দক্ষিণ থানার পূর্ব রাজাবাজার ও ফার্মগেট ওয়ার্ডের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। থানা কর্মপরিষদ সদস্য ও ফার্মগেট ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুজ জাওয়াদের সভাপতিত্বে ও পূর্ব রাজাবাজার ওয়ার্ডের সভাপতি এম কে নাদিমের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি এবং হাতিরঝিল অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মু. আতাউর রহমান সরকার।