রাঙামাটি জেলা শহরের রিজার্ভ বাজার মহসীন কলোনী এলাকায় খুন হওয়া নারীর পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ঘাতক প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ওসি মো. সাহেদ উদ্দিন।
পুলিশ জানিয়েছে, খুন হওয়া নারীর নাম খাদিজা আক্তার (৪২)। সে বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ড পুটিখালী গ্রামের মৃত আকবর হাওলাদারের মেয়ে। গ্রেপ্তার আসামি মো. জামাল হোসেন মোল্লা (৪২) খুলনা জেলার লবনচরা থানার বুড়ো মৌলভীর দরগাহ এলাকার মো. আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে। খুন হওয়া খাদিজার সঙ্গে ঘাতক জামালের দীর্ঘদিন ধরে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ ছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ৫ এপ্রিল রাত দেড়টার দিকে জেলা শহরের রিজার্ভ বাজার মহসীন কলোনী এলাকায় কাজী ওমর ফারুক তিমুমীরের বাসার নিচতলা থেকে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ওসি সাহেদ উদ্দিন জানান, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে হত্যা মামলার আসামিকে ৬ এপ্রিল খুলনার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানিয়েছে, খুন হওয়া খাদিজার সঙ্গে তার দীর্ঘ বছর ধরে পরিচয়। খাদিজা আসামি জামালের দোকানে কাজ করতো। পরে তাদের মধ্যে ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ গড়ে উঠে। বছর তিনেক আগে আসামি খাদিজাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার থেকে তিন লাখ টাকা ধার নেয়। বিগত কয়েক মাস যাবৎ খাদিজা আসামিকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয় এবং টাকা ফেরত চায়।
ওসি আরও জানান, পরে খাদিজাকে হত্যা করার পরিকল্পনায় গত ১ মার্চ খাদিজাকে জামাল রাঙামাটিতে আসে এবং মহসীন কলোনীতে ঘর ভাড়া নেয়। ২ এপ্রিল আসামি জামাল খাদিজাকে দই ও জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায় এবং রাতে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে। এমনকি মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য খাদিজার দুই পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে রুমের তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়।
