সবজিতে স্বস্তি দেখা মিললেও দামের উত্তাপ কমছে না মাছের বাজারে। যোগান বাড়লেও, অধিকাংশ মাছ ক্রেতার নাগালের বাইরে। নতুন আসা গ্রীষ্মকালীন সবজির চড়া দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। ফের বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। আর কমিয়ে দেয়া হয়েছে সয়াবিন তেলের সরবরাহ। সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে প্রতিটি শীতকালীন সবজির।
বানিজ্যের সব যুক্তি যেন বাংলাদেশে এসে হার মানে। গেল অক্টোবর ও নভেম্বরে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম দুই দফা বাড়ে। বুকিং রেট দাড়ায় ১১৪৫ ডলারে। ডিসেম্বর সেই দাম কমে হয় ১০৬৪ ডলার। এর মধ্যেই দুই দফা শুল্ক কমায় সরকার।
তবে এসবের পরেও ডিসেম্বরে তেলের দাম না কমে উল্টো বেড়েছে। রমজানের বাজার ধরতে এরই মধ্যে মজুত শুরু করছেন ব্যবসায়ীরা। যার প্রভাব পড়ছে তেলের বাজারে। এক কেজি তেল কিনতে আপনাকে সাথে কিনতে হবে আটা, ডাল, সুজি ও হালিম। এই নিয়ে বিরক্ত ভোক্তারা।
ভরা মৌসুমে এখনো স্বস্তি ফেরেনি চালের দামে। গত কয়েক মাস ধরে ভোগাচ্ছে বাঙালির প্রধান খাবারটির দর। নাজিরশাইল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, মিনিকেট ৮০ টাকা। এছাড়া গরীবের মোটা চালও ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মাঝারি চাল ৫৮-৬৪ টাকা। দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মিলার ও কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর দিকে।
শীতকালীন পণ্যে সবজি দর নিন্মমুখী হলেও সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছে মাছ-মাংসের। কেজি প্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। ইলিশের দাম তো রীতিমতো অবাক করা। এক কেজি সাইজের ইলিশ কিনতে গুনতে হবে আড়াই হাজার টাকা।
পোল্ট্রি ও সোনালি মুরগী কেজিতে দশ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১০ ও ৩৪০ টাকায়। তবে শীতকালীন মৌসুমে সাধ্যের মধ্যে হরেক রকম সবজির কিনতে পারায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
এনএ/