সরকারকে বিব্রত ও হেয় করতে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ। এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, নিষেধাজ্ঞা কথা আগেই জানা ছিলো। বিষয়টি সেনাবাহিনী দেখবে। অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা নেই তার।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞার পেছনে মোটা দাগে দুটি কারণ দেখানো হয়েছে। প্রথমেই তাকে দায়ী করা হয়েছে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে। এরপরই বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অবনমনে তার তৎপরতা রয়েছে।
আবার দুর্নীতির ব্যাখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র তিনটি অভিযোগ উল্লেখ করেছে। ভাইদের পালাতে সহায়তা করা, ভাইদের সামরিক কন্ট্রাক্ট পাইয়ে দেয়া এবং তৃতীয়ত সরকারি চাকরিতে ঘুষ নেয়া।
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ। বলেন, বিজিবির মহাপরিচালক ও সেনাপ্রধান থাকার সময়ে, অনুশোচনা করতে হয়, এমন কোনো কাজ তিনি করেননি।
আজিজ ও তার পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞার খবরটি এমন এক সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ করলো, যার কয়েকদিন আগে, দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, আস্থা পুনরুদ্ধারে ঢাকা সফর করে গেছেন।
দুপুরে ডিআরই্উ মিট দ্য প্রেসে উঠে এলো সেই প্রসঙ্গ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিষয়টি আগেই জানা ছিলো। এই নিষেধাজ্ঞা ভিসানীতির আওতাভুক্ত নয়। বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর।
এদিকে, সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ের এমন নিষেধাজ্ঞা নতুন কিছু নয়। তবে কেন এই নিষেধাজ্ঞা, সে ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে জানা নেই।
এর আগে ২০২১ সালে সাবেক র্যাব প্রধান ও কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র, যা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি।