পাকিস্তান সরকার সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে, এই কোটা ব্যবস্থার আওতায় চাকরিজীবীদের পরিবারের সদস্যরা নিয়োগে অগ্রাধিকার পেতেন এবং তারা প্রতিযোগিতার বাইরে থেকে চাকরি পেতে পারতেন। মূলত চাকরিরত অবস্থায় মারা যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের কোনও ধরনের পরীক্ষা বা প্রতিযোগিতা ছাড়াই চাকরি পাওয়ার যে বিধান দেশটিতে এতোদিন ছিল সেটা বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট গত বছরের অক্টোবর মাসে এই ব্যবস্থা অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক হিসেবে রায় দেয়। এরপর সরকার এই ব্যবস্থা বাতিল করল।
পাকিস্তান সরকার এই রায়ের পর কোটা ব্যবস্থা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য থাকবে। যেমন, সন্ত্রাসী হামলায় মারা যাওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পরিবারদের জন্য কোটা ব্যবস্থা বজায় রাখা হবে। সেই সঙ্গে, মৃত সরকারি চাকরিজীবীদের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সহায়তা পাবেন।
এই পদক্ষেপটি সরকারের পক্ষ থেকে একটি বড় সংস্কার হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এটি প্রমাণ করে যে পাকিস্তান সরকার বৈষম্য দূর করতে এবং চাকরির ক্ষেত্রে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
আদালত আরও বলেছিল, যে কোনও নীতি বা আইন যদি সাংবিধানিক নীতির সাথে সাংঘর্ষিক হয় তা বিচারিক পর্যালোচনার বিষয় হবে। ফেডারেল এবং প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষকে সাংবিধানিক কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্য করে এই আইনগুলো প্রত্যাহার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
পড়ুন:আদানিকে বৈধতা দিতে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছিলো বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে
দেখুন:১৫ নভেম্বর থেকে সরকারি অফিস সময় ৯টা-৪টা |
ইম/