রাজধানীসহ সারাদেশে দেখা দিয়েছে তীব্র গ্যাস সংকট। গ্যাস না থাকায় রান্না করতে পারছেন না অনেকে। প্রভাব পড়েছে সিএনজি স্টেশনগুলোতেও। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে গ্যাসের জন্য।
সাধারণত শীতের সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যায়। এতে বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের চাহিদা কমে যায়। ফলে শিল্প, আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এবার গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন টানা কমছে। ফলে শীতেও গ্যাস–সংকট ভোগাচ্ছে গ্রাহকদের।

রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের ব্যাপক সংকটে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। অনেক জায়গায় দিনের বেলায় গ্যাস থাকছে না। রান্নার চুলা জ্বালাতে রাতের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
এদিকে শীতের শুরু থেকেই তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে নগরীর ফিলিং স্টেশনে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও মিলছে না গ্যাস। যাও বা পাওয়া যাচ্ছে, চাপ কম থাকায় হচ্ছে অর্থলগ্নি। টান পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের পকেটে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি বিভাগের অবহেলা ও অদক্ষতা এর জন্য দায়ী। সর্বোচ্চ মজুত থাকার পরও কারিগরি পরিকল্পনা ও দক্ষ প্রযুক্তির অভাবে তিতাস ও কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানো যায়নি।
এনএ/