28.3 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

হামজা চৌধুরীর স্ত্রী কে এই অলিভিয়া?

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তুলতে যাওয়া হামজা চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশের মাটিতে পা রেখেছেন। আজ সোমবার বেলা পৌনে বারটার দিকে তিনি পৌঁছান। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ফুটবলারকে বরণ করে নিতে সকাল থেকেই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করেন বিপুলসংখ্যক ফুটবলপ্রেমী ও ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা। ছিল অনেক গণমাধ্যমকর্মী ও ইউটিউবারদের উপস্থিতি।

সব ঠিক থাকলে চলতি মাসে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হতে যাচ্ছে হামজার। যেখানে স্মরণীয় এ সফরে তার সঙ্গী হয়েছেন মা, স্ত্রী ও সন্তানরা।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক হামজা চৌধুরী। পরিবার বাংলাদেশি হলেও তার বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ড যুব দলের হয়ে খেলেছেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল লেস্টার সিটিতেও খেলেছেন এই মিডফিল্ডার। ভালোবেসে ব্রিটিশ নাগরিক অলিভিয়াকে বিয়ে করেন হামজা চৌধুরী।

ব্রিটেনের গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, হামজাপত্নীর পূর্বনাম ছিল অলিভিয়া ফাউন্টেইন। হামজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকে নিজেকে অলিভিয়া চৌধুরী হিসেবেই পরিচয় দেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নামেই পরিচিত। শোনা যায়, ধর্মত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তিনি।


অলিভিয়া ২০১৬ সাল থেকেই হামজা চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সে সময় ফুটবলাঙ্গনে খুব বেশি পরিচিত মুখ ছিলেন না হামজা। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুজনের প্রণয়ের ব্যাপারে জানতেই তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করেন হামজার বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী।

এদিকে অলিভিয়া পেশায় একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। লেস্টার শহরেই নিজের পেশাগত কাজে ব্যস্ত থাকেন বেশিরভাগ সময়। কিশোর বয়সেই ছবি আঁকার প্রতি ভালোবাসার সৃষ্টি। সেখান থেকেই পেশাগত জীবনে পথচলা। পেশায় ডিজাইনার অলিভিয়া শখের বশে কুকুরও পোষেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে প্রায় ৫০ হাজার পাউন্ড খরচ করেছিলেন কুকুরের পেছনে।

হামজা-অলিভিয়া দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। এক কন্যা দুই পুত্র। কন্যা দেওয়ান এনায়া হুসাইন চৌধুরী, দেওয়ান ঈসা হুসাইন চৌধুরী এবং দেওয়ান ইউনুস হুসাইন চৌধুরী। জানা গেছে, নবির নামে সন্তানদের নাম রেখেছেন হামজা নিজেই।

পড়ুন : অভিষেকেই ম্যাচসেরা হামজা, কেমন ছিল মাঠের পারফরম্যান্স

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন