ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশি ও বিদেশি ২২ জনের পরিবারের সদস্যরা এখনো ন্যায়বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। হামলা মামলায় সাত জনের ফাঁসির আদেশ হলেও আসামিদের আপিল ও রায় পর্যবেক্ষনে সাজা কমিয়ে ২০২৩ সালে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হাইকোর্ট। তবে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ।
পহেলা জুলাই ২০১৬,নির্মম এক জঙ্গি হামলার সাক্ষী হয় বাংলাদেশ। অভিজাত গুলশানের ৭৯ নাম্বার সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে রাতে হঠাৎ হামলা চালায় পাঁচ জঙ্গি।রা তভর আতঙ্কে স্তব্ধ হয়েছিল গোটা দেশ। প্রায় আট বছর ধরে সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ।
১৮ জন বিদেশি নাগরিক সহ ২২ জন নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে নয় জন ইতালির, সাত জন জাপানের, একজন ভারতীয়সহ তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন।২০১৯ সালের ২৭শে নভেম্বর জঙ্গি হামলা মামলায় সাতজন জঙ্গিকে ফাঁসি ও এক জনকে খালাস দেয় নিন্ম আদালত।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর আসামিদের আপিল ও মামলার রায় পর্যবেক্ষনে আসামীদের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট।
এ নিয়ে সর্বোত্র সমালোচনা হওয়ায় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্তা বলেন,রায়ের মূল কপি হাতে পেলে এর বিরুদ্ধে আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ।
তবে, তিনি আরো বলেন, এমন জঘন্য অপরাধে ফাঁসি হওয়া বাঞ্ছনীয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহতম জঙ্গি হামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি ভুক্তভোগীদের।