রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টোকিওর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুরুষ ৫০ বছর বয়সেও বিয়ে করেননি। আর টোকিও-ভিত্তিক মানবসম্পদ প্রতিষ্ঠান রিক্রুট হোল্ডিংসের তথ্য বলছে, জাপানের ৪৬ শতাংশ পুরুষ ও ৩০ শতাংশ নারী তাঁদের ২০ বছর বয়স পর্যন্ত কখনো ডেট করেননি।
জাপানের সরকার অনুমোদিত গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি রিসার্চের ১২ এপ্রিলের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানে একাকী বসবাসকারী প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা আগামী ২৫ বছরে অনেক বাড়বে। জাপানি তরুণ-তরুণীদের দেরিতে বিয়ে করার প্রবণতা বা অনেকের সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে এই বিপুলসংখ্যক প্রবীণ জনগোষ্ঠী বেড়ে যাচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটির প্রতি পাঁচ পরিবারের মধ্যে একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে একা একা জীবন কাটাতে হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কীভাবে এই বিপুলসংখ্যক প্রবীণ জনসংখ্যার যত্ন নেওয়া যায়, তা খুঁজে বের করার উপায় খুঁজছে জাপান।
এ প্রতিষ্ঠান পাঁচ বছর পরপর এ ধরনের গবেষণা করে থাকে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে জাপানে ১ কোটি ৮ লাখ বয়স্ক মানুষ একা বসবাস করবেন, যা দেশটির সব পরিবারের ২০ দশমিক ৬ শতাংশ।
২০২০ সাল থেকে জাপানে প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে। সে সময় একা বসবাস করা বয়স্ক মানুষের সংখ্যা ছিলো ৭৩ লাখ ৭০ হাজার যা মোট পরিবারের ১৩ দশমিক ২ শতাংশ।