26.8 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

৭ দিনের মধ্যে মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচার শুরু হবে : আইন উপদেষ্টা

মাগুরার সেই শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিচার আগামী সাতদিনের মধ্যে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি এ কথা জানান।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আছিয়া আজ দুপুর ১টার দিকে সিএমএইচে মারা গেছে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা শোক জানিয়েছেন। আমরা সবাই শোকার্ত, এর মধ্যে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা আজকেই পোস্টমর্টেম প্রতিবেদন নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আছিয়ার মরদেহ দাফনের জন্য মাগুরায় নিয়ে যাওয়া হবে হেলিকপ্টারে করে।আছিয়ার মরদেহ এবং তার পরিবারের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার উপস্থিত থাকবেন। তিনি সেখানে দাফন পর্যন্ত থাকবেন।

‘ডিএনএ স্যাম্পল কালেকশন করা হয়ে গেছে, আশা করি আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেয়ে যাবো। এরই মধ্যে ১২-১৩ জনের ১৬১ ধারায় (দণ্ডবিধি) স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী সাত দিনের মধ্যে বিচার কাজ শুরু হবে।’

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয় আট বছরের শিশুটি। বোনের শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায় সে। ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার বোনের অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে চিকিৎসার জন্য না নিয়ে উল্টো ঘরের ভেতরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।

পরদিন ৬ মার্চ সকালে প্রতিবেশী এক নারী তাদের ঘরে এলে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং এরপর শিশুটিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ততক্ষণে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। হাসপাতালে গিয়ে বোনের শাশুড়ি চিকিৎসকদের জানান শিশুটিকে জ্বিনে ধরেছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বোনের শাশুড়ি।

৬ মার্চ দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ওইদিন রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢাকা মেডিকেলে দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৮ মার্চ তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

ধর্ষণের ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। এতে শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাশুর ও ভগ্নিপতিকে আসামি করা হয়েছে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।

পড়ুন : ধর্ষণের বিচার করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে : আইন উপদেষ্টা

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন