27 C
Dhaka
রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
spot_imgspot_img

ইসরায়েলের আয়রন ডোম কতটা কার্যকর?

৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের গাজার সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। হামাসের হামলার জবাবে তখনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী আইডিএফ হামলা শুরুর পর গাজা থেকে হামাসের পাল্টা রকেট প্রতিহত করা হয়েছে ইসরায়েলের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা হিসেবে বিশ্বখ্যাত আয়রন ডোন দিয়ে। সিরিয়ার দামেস্কে ইরানী দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে ড্রোন এবং ক্ষেপনাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। আইডিএফ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানের হামলার ৯৯ শতাংশই আইডিএফ প্রতিহত করেছে আয়রন ডোম দিয়ে। এ ব্যবস্থা এতটা কার্যকর না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারতো বলে মনে করে ইসরায়েল।

আয়রন ডোম ব্যবস্থা দিয়ে স্বল্পদূরত্বের অস্ত্র প্রতিহত করা যায়। যেকোন আবহাওয়াতেই এ ব্যবস্থা কার্যকর। এর সঙ্গে রাডার যুক্ত রয়েছে যা দিয়ে রকেট সনাক্ত করতে পারা যায়। আয়রন ডোমের আরেক সুবিধা; কোন রকেটগুলো জনবহুল এলাকায় আঘাত হানবে এবং কোনগুলো আঘাত করবে না- তা সনাক্ত করতে পারে। আয়রন ডোমের প্রতিরক্ষা ক্ষেপনাস্ত্রগুলো তাই সেইসব রকেটকে ধ্বংস করে দেয় যেগুলো জনবহুল এলাকায় হামলার জন্য নিক্ষিপ্ত হয়।

আয়রন ডোমের প্রতি কাঠামো থেকে পরপর ২০টা ক্ষেপনাস্ত্র বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করা যায়। এ পদ্ধতি স্থায়ী এবং বহনযোগ্য-দুইভাবেই দেখা যায়।

২০০৬ সালে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধের পর আয়রন ডোম পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠান রাফায়েল এডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম এবং ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে আয়রম ডোম তৈরি করা হয়। ২০১১ সালে গাজা থেকে ছোঁড়া ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিহত করে এর প্রথম সফল ব্যবহার হয়। ইসরায়েলের দাবি, প্রতিপক্ষের ক্ষেপনাস্ত্র ধ্বংস করতে আয়রন ডোমের সফলতার হার ৯০ শতাংশ।

spot_img
spot_img

আরও পড়ুন

spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন