দেশে ক্রমেই বাড়ছে আত্মহত্যার সংখ্যা। এমনকি আত্মহত্যার আগে অনেকে সামাজিক মাধ্যমে সুইসাইড নোট দিয়ে মৃত্যুর কারণও জানিয়ে দিচ্ছেন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন- নিঃসঙ্গতা, বিষন্নতা, হতাশা থেকেই শিক্ষার্থীরা এই পথ বেছে নিচ্ছেন। সম্প্রতি সংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে চলছে আলোচনা, সমালোচনা। সাদি মহম্মদের আত্মহত্যার পেছনে দীর্ঘদিনের একাকীত্ব ও বিষন্নতাকে মূল কারণ মনে করছেন তার সহকর্মীরা। আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবন্তিকা আত্মহত্যার আগে সহপাঠী আম্মান ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেছেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান আঁচল ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সারাদেশে আত্মহত্যা করেছে ৫১৩ শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে ৫৩২ শিক্ষার্থী আর ২০২১ সালে আত্মহত্যা করে ১০১ শিক্ষার্থী। আরেকটি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ১৪ হাজার ৪৩৬ জন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতা বাড়ার কারণ হিসেবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়তি প্রত্যাশা ও অল্প সমস্যায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়া শিক্ষার্থীরাই আত্মহত্যা বেশি করে।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, পারিবারিক কাঠামো ভেঙ্গে যাওয়ায় বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। আত্মহত্যা রোধে পরিবারের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বলেও মত দেন তারা। আত্মহত্যাকে জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করা সংগঠনগুলোর।