দেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু, এখন সমালোচনায় বিদ্ধ ছাত্ররাজনীতি। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেকে বলছেন, শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি থাকতেই পারে। তবে, তা হতে হবে পরিচ্ছন্ন। কল্যাণমূলক রাজনীতির তাগিদ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরাও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, শিক্ষার্থীরা কেন রাজনীতিবিমুখ হচ্ছেন, সেটি খুঁজে বের করা জরুরি। ছাত্ররাজনীতির ইতিহাস গৌরবময়। সেই গৌরব ফেরানোর দায়িত্ব সংগঠনগুলোরই সবচেয়ে বেশি, মনে করেন তিনি।
ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। সব সংগ্রামেই সামনের সারিতে থেকেছে ছাত্র সংগঠনগুলো। তবে, বিতর্কও সঙ্গী ছিলো সবসময়ই। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়- বুয়েটে ঘটে যায়, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড।
তখন আন্দোলনের মুখে, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রশাসন। সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের প্রবেশের ঘটনায়, ফের আন্দোলন শুরু হয়েছে বুয়েট ক্যাম্পাসে। তাই, আবারো প্রশ্ন উঠেছে, ছাত্ররাজনীতি কি প্রয়োজনীয়তা হারিয়েছে?
বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বলছেন, রাজনীতি করা শিক্ষার্থীদের অধিকার। এতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত নয়। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের অনেকেই বলছেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই রাজনীতি প্রয়োজন। তবে, তা হতে হবে পরিচ্ছন্ন।