গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ সরব রয়েছে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো। মিছিল-সভা-সমাবেশের মধ্য দিয়ে আসন্ন নির্বাচনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। এরই মধ্যে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো ছিল সেগুলোর বিচার কার্যক্রম শেষ হতে শুরু করেছে।
সেই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেও অসুস্থতা কাটিয়ে ধীরে ধীরে রাজনীতিতে অঙ্গনে সরব হতে দেখা যাচ্ছে।
২১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া
সেই ধারাবাহিকতায় এবার জানা গেল, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আগামী ২১ ডিসেম্বর বিএনপির অঙ্গসংগঠন মুক্তিযোদ্ধা দল যে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করেছে সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন খালেদা জিয়া। রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, ২০১৭ সালের পর এই প্রথম কোনো সমাবেশে অংশ নিতে যাচ্ছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপির এক সূত্র জানিয়েছে, গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনে তার সঙ্গে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সাক্ষাৎ করতে যান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। এসময় তারা খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানান এবং তিনি প্রাথমিকভাবে সমাবেশে উপস্থিত থাকার সম্মতি দেন।
তবে বেগম খালেদা জিয়া সমাবেশে যাবেন কি না, এ বিষয় জানতে বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ ম্যাডামকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখলে তিনি সমাবেশে যেতে পারেন।’
খালেদা জিয়ার সমাবেশে উপস্থিত থাকার এই বার্তা (রাজনীতিতে ফেরা) নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ চাঙা ভাব দেখা গেছে। তারা বলছেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়া এই সমাবেশে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে আবারও রাজনীতিতে ফিরে আসছেন।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। আর ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের মামলায় কারাগারে যাওয়ার আগে ৬ ফেব্রুয়ারি গুলশানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন তিনি। এরপর আর কোনো সমাবেশে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি তাঁকে।