27 C
Dhaka
রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
spot_imgspot_img

শাবানা থেকে মিশাদের আসল নাম কি?

ঢালিউডের বেশির ভাগ তারকারই আসল নাম হারিয়ে গেছে নকল নামের দৌরাত্ম্যে। শাবানা, ববিতা, শাবনূর, পূর্ণিমা, পরীমনি থেকে শুরু করে শাকিব খান, মিশা সওদাগর সবই সিনেমার নাম। আর এই নামগুলোর জনপ্রিয়তায় হারিয়ে গেছে তাদের প্রকৃত নাম। বলিউডের সিনেমায়ও এই রীতি বেশ পুরোনো, তবে সংখ্যায় আমাদের সিনেমার তারকাদের চেয়ে কমই হবে। ঢালিউডের বই পুস্তক আর পত্রিকা ঘেটে দেখা গেছে, হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বাকী সব জনপ্রিয় তারাই ভুয়া নামে খ্যাত। মানে, তাদের ভোটার আইডি কিংবা পাসপোর্টের নামের সাথে দর্শক নন্দিত নামের মিল নেই। চলুন জেনে নেই দেশীয় সিনেমার বাছাইকৃত নায়ক নায়িকাদের প্রকৃত নাম কি?

জনগণ নন্দিত নায়িকা শাবানার জন্ম চট্টগ্রামের রাউজানে। দেশ সেরা এই নায়িকার প্রকৃত নাম আফরোজা সুলতানা রত্মা। ফরিদা আক্তার পপি বললে অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন উনি কে? ইনিই হলেন বাগেরহাট জেলায় জন্ম নেয়া আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন নায়িকা ববিতা। ফরিদপুরের রাজবাড়ী এলাকার মেয়ে রোজিনার পাসপোর্টের নাম রওশন আরা রুনু। বরিশালে জন্ম নেয়া ড্যাসিং হিরো সোহেল রানার জন্মনাম মাসুদ পারভেজ। বেদের মেয়ে জোসনা খ্যাত নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রকৃত নাম কি? কিশোরগঞ্জের এই তারকার পৈত্রিক নাম ইদ্রিস আলী।

১৯৬৯ সালে বাবলু সিনেমায় একটি বাচ্চা ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন একটি মেয়ে। বেবী হেলেন নামের এই মেয়েই ঢালিউডের সুচরিতা। এতো গেলো সিনিয়রদের প্রকৃত নামের অবস্থা। জুনিয়রাও কিন্তু কম যায় না। ঢালিউডের হাল সময়ের সবচেয়ে বড় তারকা শাকিব খান। ভোটার আইডিতে লেখা মাসুদ রানা।

খুলনায় জন্ম নেয়া আরও দুইজন জনপ্রিয় তারকার নাম মৌসুমী ও পপি। প্রথমজনের পারিবারিক নাম আরিফা পারভীন জামান আর দ্বিতীয় জন সাদিকা পারভিন। এখনও অনেক তরুণের ক্রাশ চট্টগ্রামের মেয়ে দিলারা হানিফ রীতা। কি? চেনা যাচ্ছে না? তাই তো? যদি বলি পূর্ণিমা। হ্যা, দিলারা হানিফ রীতাই জনপ্রিয় পূর্ণিমা।

ঢালিউডের সর্বকালের অন্যতম সফল নায়িকা শাবনূর। যশোরের কাজী শারমীন নাহিদ নূপুরকে পরিচালক এহতেশাম বানিয়েছেন শাবনূর। এমনিভাবে বগুড়ার মেয়ে অবন্তি বিশ্বাস হয়ে গেছেন অপু বিশ্বাস। সাতক্ষীরার শামসুর নাহার স্মৃতিই হলেন হালের আলোচিত পরীমনি। জনপ্রিয় খল তারকা মিশা সওদাগরের সার্টিফিকেটের নাম শহীদ হাসান।

spot_img
spot_img

আরও পড়ুন

spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন