মেক্সিকো উপসাগরের নাম এখন থেকে গুগল ম্যাপে গালফ অব আমেরিকা হিসেবে দেখা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এ নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মেক্সিকো ও কিউবায় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তারা এই সিদ্ধান্তকে হাস্যরস বা উদাসীনতায় উড়িয়ে দিয়েছেন।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, গালফ অব মেক্সিকো নামটি বদলে গালফ অব আমেরিকা রাখা হয়েছে। গুগলও তাদের ম্যাপে এ পরিবর্তন আনবে। তবে নতুন নাম শুধু যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কার্যকর হবে।

মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেক্সিকো ও কিউবার মানুষের কাছে মেক্সিকো উপসাগর শুধু একটি ভৌগোলিক স্থান নয়, এটি তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে হাস্যরসের সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছেন। তার মতে যদি নাম পরিবর্তন হতে থাকে, তাহলে উত্তর আমেরিকার নামও মেক্সিকান আমেরিকা রাখা উচিত। কারণ একসময় যুক্তরাষ্ট্রকে ওই নামেই ডাকা হতো।
কিউবায় ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তারা পুরো ব্যপারটা নিয়ে উদাসীন। নাম পরিবর্তনের ফলে কিউবার কিছু এসে যায় না। তাঁদের কাছে এটি মেক্সিকো উপসাগরই থাকবে। কারণ একজন ব্যক্তির ইচ্ছায় একটি উপসাগরের নাম পরিবর্তন করা যায় না।

নাম পরিবর্তনের ফলে নাবিকদের জন্য তেমন কোনও সমস্যা হবে না। তারা নেভিগেশন চার্ট ও রেডিওতে সঠিক স্থানাঙ্ক ও গতিবেগ জানালেই চলবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হলে আবারও এই উপসাগরের নাম পরিবর্তন হতে পারে। ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট নীতি যদি পুরো দেশে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে নিউ মেক্সিকো রাজ্যের নামও কি নিউ আমেরিকা করা হবে কিনা সে প্রশ্নও উঠেছে।
এনএ/