২৩/০৫/২০২৫, ২১:২৯ অপরাহ্ণ
28 C
Dhaka
২৩/০৫/২০২৫, ২১:২৯ অপরাহ্ণ

খাস জমি দখল করে সাবেক সেচ্ছাসেবকদল নেতার মার্কেট নির্মাণ

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের আনন্দ বাজার বেড়িবাঁধ সংযোগ সড়কের তীরে পদ্মা নদীর খাস খতিয়ানের সরকারি জমি দখল করে ১৫ টি দোকান ঘর নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে সেচ্ছাসেবকদল নেতা আলআমিন সরকারের বিরুদ্ধে। সে সখিপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, একএগারো সরকারের সময় এ এলাকার মানুষকে জমি ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করতে ততকালীন বিরগেডিয়ার ইসমাইল সখিপুর আনন্দ বাজার পদ্মা নদীর উপর একটি সংযোগ সড়ক নির্মান করেন। পরে নদীর পাড় জাগতে থাকে। একটা সময় কালের বিবর্তনে নদীর জায়গায় দখলের মহোৎসবে মেতে উঠেছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রভাবশালী নেতারা। আওয়ামী লীগের আমলে নদীটির তীরের জমি দখল হয়েছে মোট ৩৪-৩৫ টি দোকান৷ আর এখন ৫ আগষ্টের পরে সেচ্ছাসেবকদলনেতা আল আমিনসহ বিএনপি নেতারা মিলে জমি দখল করে ১৫ টি দোকান নির্মান করছেন। তবে ওই সেচ্ছাসেবকদল নেতার দাবি দোকান নির্মানে জমিটি বিআর এস ১৮৪৩৩ নং দাগের রেকর্ড কৃত ব্যাক্তিগত সম্পত্তি। কিন্তু বিশেষ সুত্র বলছে ওই জমিটি সরকারি ১নং খাস খতিয়ানের বিআরএস ১৮৪৬১ নং দাগের পদ্মা নদীর জমি, যাহা সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক মালিক। তবে একই দাগের আরোও দখল কৃত অবৈধ দোকান উচ্ছেদের আবেদন দিয়েছেন সখিপুর (ক) ইউনিয়ন ভুমি কর্কমকর্তা। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার জমি দখলের বিষয়টি উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে অবগত করলে ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলেন। কিন্তু ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা জুয়েল সরকারি ১ নং খাস খতিয়ানের জমি বন্দবস্ত নিয়েই সেচ্ছাসেবকদল নেতার দোকানের পক্ষে সুপারিশ জানিয়ে প্রতিবেদন দেন উপজেলা ভুমি অফিসে। ২০১৭ সালে এই জায়গায় দোকান নির্মাণের সময় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ দোকানগুলি উচ্ছেদ করেন। বিষয়টি নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় সচেতন মৌলের মাঝে।

সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আল আমিন সরকার বলেন, জমিটি আমাদের বিআরএস খতিয়ানে এ নিজস্ব মালিকানায় তাই আমরা দোকান নির্মাণ করছি। তবে আমি একা নয় থানা বিএনপির দুজন নেতারও এখানে দোকান রয়েছে।

সখিপুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা জুয়েল বলেন, আমরা সেখানে গিয়ে দেখেছি এবং তাদের কাগজপত্রে তারা নিজস্ব নামে বিআরএস এ রেকর্ড মূলে দোকান নির্মাণ করছে। তবে জমিটির প্লট অথবা ম্যাপ দেখা হয়নি।

এবিষয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোজাহেরুল হক বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি।পরে তহসিলদারকে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। তহসিলদারের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই জায়গাটি তাদের ব্যক্তিমালিকানা। তার পরেও আমি আবার বিষয়টি দেখব। যদি সেটি নদীর জায়গায় পড়ে তাহলে আইনানুসারে ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।

পড়ুন: শরীয়তপুর পালং থানার পুলিশ পরিদর্শক আত্মগোপনে

দেখুন: শরীয়তপুর-৩ আসনে নির্ভার নৌকার প্রার্থী 

এস

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন