১৬/০৫/২০২৫, ২২:২১ অপরাহ্ণ
27.2 C
Dhaka
১৬/০৫/২০২৫, ২২:২১ অপরাহ্ণ

আগামীকাল দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

চার মাস চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের উপহার বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সোমবার রাতেই লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে তাঁর। দেশে ফেরার সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকবেন তাঁর দুই পুত্রবধূ—ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান।

দীর্ঘদিন পর দলের চেয়ারপারসনের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে উৎফুল্ল বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উদ্দীপনা। নেত্রীর আগমনকে স্বাগত জানাতে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তারা রাস্তার পাশে দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে চেয়ারপারসনের গাড়িবহরকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

বিমানবন্দর থেকে গুলশানের ফিরোজা বাসভবন পর্যন্ত পথজুড়ে দলীয় নেতাকর্মীদের অবস্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি থাকবে বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত, ছাত্রদল থাকবে লা মেরিডিয়েন থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত, যুবদল খিলক্ষেত থেকে হোটেল র‍্যাডিসন পর্যন্ত। দক্ষিণ বিএনপি থাকবে র‍্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত। এরপর পর্যায়ক্রমে স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, ওলামা দল, তাঁতীদল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, মহিলা দল ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা অবস্থান নেবেন গুলশান-২ পর্যন্ত।

রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন। আমরা নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি, যাতে তারা শৃঙ্খলার সঙ্গে অভ্যর্থনায় অংশ নেন।” তিনি আরও জানান, কেউ মোটরসাইকেল বা হেঁটে গাড়ির সঙ্গে যেতে পারবে না এবং বিমানবন্দর বা খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশের অনুমতি থাকবে না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “নেত্রী ফিরে আসছেন—এটি আমাদের জন্য আবেগের বিষয়। সারা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে। আমরা চাই, সবাই শৃঙ্খলার সঙ্গে অংশগ্রহণ করুক।” তিনি আরও জানান, লন্ডনে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নত হয়েছে। সেখানকার পারিবারিক পরিবেশ এবং চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তিনি সুস্থবোধ করায় দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ডা. জোবাইদা রহমানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কের ‘মাহবুব ভবন’। তাঁর বাবা প্রয়াত মাহবুব আলী খান ছিলেন নৌবাহিনীর প্রধান। ওই ভবনে এখন তাঁর মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু, বড় বোন শাহীনা জামানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাস করেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুম্মন বলেন, বাসার সাজসজ্জা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সিসিটিভি ক্যামেরা, পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস ও জেনারেটরের কাজ চলছে। 

প্রসঙ্গত, ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হয়। লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁকে তারেক রহমানের বাসায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে তিনি ছিলেন।

পড়ুন: ব্যারিস্টার রাজ্জাকের মৃত্যুতে জনতা পার্টি বাংলাদেশের শোক প্রকাশ

দেখুন: যে দেশে ডি*ভোর্স মানেই উৎসব, বিয়ে করেন ১৫-২০ বার

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন