১৪/০৬/২০২৫, ১৩:১৫ অপরাহ্ণ
35.3 C
Dhaka
১৪/০৬/২০২৫, ১৩:১৫ অপরাহ্ণ

নেত্রকোনায় ভাগিনার মারপিটে মামার মৃত্যু, ভাগিনা গ্রেফতার

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় পারিবারিক কলহে ভাগিনা ও ভাগিনা বউ কর্তৃক মারপিটে মামা কাঞ্চন মিয়া (৬৫) হত্যাকান্ডে মামলার প্রধান আসামি ভাগিনাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ভাগিনা মাজাহারুল ইসলাম (২১) জেলার কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা দেড়টার দিকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেফতারের তথ্য জানান থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান।

মামলার তদন্তকার্য চলাকালীন সময়ে সোর্স নিয়োগসহ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে কাঞ্চন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় এক নাম্বার ও প্রধান আসামি মাজাহারুলের সন্ধান পায় পুলিশ। গত সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনা চৈতাবাতে ড্রিম হলিডে পার্কে পাশে কাজ করা অবস্থায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলাটির প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে ওসি জানান, গ্রেফতারকৃত মাজাহারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিলে প্রায় সময় মাজাহরুলের মায়ের সাথে ঝগড়া বিবাদ করতো। এতে মাজাহারুলের মা অতিষ্ঠ হয়ে তার ভাই ভুক্তভোগী কাঞ্চন মিয়াকে জানান। গত ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে ভুক্তভোগী ঘটনা জানতে ও বিচার করার জন্য নওপাড়া গ্রামের বোনের বাড়িতে আসেন। মায়ের সাথে ঝগড়া বিবাদ ও মারপিটের কারণ জানতে চাইলে ভুক্তভোগীর সাথে মাজাহারুলের বাক-বিড়ন্ডা শুরু হয়।

ওসি মো. মিজানুর রহমান আরো জানান, একপর্যায়ে মাজাহারুল ও তার স্ত্রী দুজনে মিলে মামা কাঞ্চন মিয়াকে (৬৫) মারপিট করে গুরুত্বর আহত করেন। এতে ভুক্তভোগীকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য প্রথমে কেন্দুয়া উপাজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। শারিরীক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভুক্তভোগীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিনই বিকেলে ৫টার দিকে কাঞ্চন মিয়া মারা যান।

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ধৃত আসামিকে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরের দিকে জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান থানার ওসি।

পড়ুন: নেত্রকোনায় অসামাজিক কার্যকলাপ বিরোধী টাস্কফোর্সের অভিযান

দেখুন: নারী উদ্যোগে এগিয়ে যাচ্ছে নেত্রকোণার গ্রামীন সমাজ | 

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন