ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে রাজস্থানের দরকার ছিলো ২২ রান। বৈভব অরোরার করা ওভারের প্রথম দুই বলে জফরা আর্চার ডাবল ও সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দেন দুবেকে। পরের তিন বলে দুটি ছয় ও একটি চারে ১৬ রান নিলে শেষ বলে দরকার হয় ৩ রানের। ওই বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে যান আর্চার। আর তাতেই ১ রানের জয় পায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে ওঠার লড়াইয়ে টিকে রইলো কলকাতা।
রোববার (৪ মে) ইডেন গার্ডেনসে টসে জিতে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২০৬ রান তোলে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শেষদিকে আন্দ্রে রাসেল ও রিংকু সিংয়ের তাণ্ডবে রাজস্থানের বোলাররা খেই হারিয়েছিলেন। প্রথম ৯ বলে ২ রান করা রাসেল পরের ১৬ বলে করেছেন ৫৫ রান।
শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। আইপিএলের চলতি আসরে রাসেলের এটিই প্রথম ফিফটি। ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজিয়েছেন তার ইনিংসটি। রাজবংশীর বিদায়ের পর উইকেটে আসা রিংকু ১ চার ও ২ ছক্কায় ৬ বলে করেছেন ১৯ রান।
রান তাড়ায় ইনিংসের চতুর্থ বলে বিস্ময়বালক বৈভব সূর্যবংশীকে হারায় রাজস্থান। দ্বিতীয় ওভারে ক্রুনাল সিং রাঠোরের উইকেটও হারায় তারা। এরপর রিয়ান পরাগকে নিয়ে যশস্বী জয়সওয়ালের ৩১ বলে ৫৮ রানের জুটি। ২১ বলে ৩৪ রান করা জয়সওয়ালকে ফেরান মঈন আলী। এরপর ৫ রানের মধ্যে বরুণ চক্রবর্তী ফিরিয়ে দেন ধ্রুব জুরেল ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে।
এরপর রাজস্থানের অধিনায়ক পরাগ শিমরান হেটমায়ারকে নিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিলেন দলকে। ১৩ ও ১৪তম ওভার মিলিয়ে টানা ছয়টি বৈধ বলে ছক্কা মেরে ইডেনের দর্শকদের স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন পরাগ। তবে ১৬তম ওভারে হেটমায়ারের বিদায়ের পর চাপে পড়েন পরাগ।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থাকতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন রাজস্থান অধিনায়ক। ৪৫ বলে ৯৫ রান করার পথে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ১৪ বলে ২৫ রান করে ফিরে যান দুবে। শেষ পর্যন্ত জয়ের একেবারে কাছে গিয়ে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো রাজস্থান রয়্যালসকে।
এদিকে টানা ৬ বলে ৬টি ছক্কা মেরে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন রিয়ান পরাগ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা একাধিকবার ঘটলেও আইপিএলে এটিই প্রথম। তবে এক ওভারের সব বলে নয়, দুই ওভার মিলিয়ে তার খেলা টানা ৬ বলে ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। আইপিএলের ইতিহাসে এটিই প্রথম। তবে পরপর পাঁচটি ছক্কা মারা কীর্তি আছে আরও ৪ জনের।
পড়ুন : রাজস্থানকে ১০০ রানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে মুম্বাই