শেয়ারবাজারে সরকারি কর্মকর্তারা বিনিয়োগ করতে পারেন। এতে বিএসইসির আইনগত কোন বাধা নেই। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী সংস্থাটির দায়িত্ব পাওয়ার আগে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।
দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাসহ কিছু অনলাইন পত্রিকায় বিএসইসি কমিশনারের শেয়ার ব্যবসাকে শেয়ার কেলেঙ্কারি হিসেবে তুলে ধরেছেন। তবে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলছে কমিশন।

এ ব্যাপারে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম নাগরিককে জানান, বিএসইসির কমিশনার মুঃ মোহসিন চৌধুরী বিএসইসিতে যোগদানের পূর্বেই ২০২১ সালে ব্যক্তিগত বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে উক্ত বিও অ্যাকাউন্টটি খুলেছিলেন। বিএসইসি’র চাকরিতে যোগদানের পর তিনি উক্ত বিও অ্যাকাউন্টে কোন শেয়ার বা সিকিউরিটিজ ক্রয় করেননি। গত ২০২৪ সালের জুন মাসে বিএসইসি’র চাকরিতে যোগদানের পর পরই তিনি উক্ত বিও অ্যাকাউন্টে থাকা সকল শেয়ার বিক্রয় করার এবং উক্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্রোকারকে নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী অপরাপর সকল শেয়ার বিক্রয় করা হয়েছে কিন্তু ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকার কারণে শুধু “BEXIMCO LIMITED”-এর শেয়ারসমূহ বিক্রি করা সম্ভব হয়নি এবং একারণে সিডিবিএল Bye-laws অনুযায়ী উক্ত বিও অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি মর্মে সংশ্লিষ্ট ব্রোকার তাকে অবহিত করেছে বলে জানান তিনি।
মুখপাত্র আরও বলেন, বর্তমানে উক্ত বিও অ্যাকাউন্টে “BEXIMCO LIMITED”-এর মোট ২২৩১টি শেয়ার রয়েছে যার বর্তমান বাজারমূল্য ২,৪৫,৬৩৩ টাকা। উল্লেখ্য, ১লা জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে উল্লেখিত “জিরো ওয়ান লিমিটেড” ব্রোকারেজ হাউজটির সকল কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে। তাই বিএসইসির কমিশনারে শেয়ারব্যবসার সাথে জড়িত উল্লেখিত দাবিটি সত্য নয় এবং প্রকাশিত সংবাদ বাস্তব ভিত্তিক নয় বরং বিভ্রান্তিকর বলে মনে করেন তিনি।
পড়ুন: শেয়ারবাজার ভালো হবে: অর্থ উপদেষ্টা
দেখুন: শেয়ারবাজারে বিএসইসি কমিশনারের বিনিয়োগ বিভ্রান্তি
ইম/