26.8 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

সেনা সংকটে জার্মান সেনাবাহিনী 

জার্মান সরকার সামরিক বাহিনীর প্রসারে আগ্রহী হলেও, দেশের সামরিক বাহিনী বুন্ডেসভেয়ার বর্তমানে এক তীব্র সেনা সংকটে ভুগছে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বুন্ডেসভেয়ার এখনও অনেক শূন্য পদের মুখোমুখি। বর্তমানে জার্মান সশস্ত্র বাহিনীতে মোট ১ লাখ ৮১ হাজার সৈন্য রয়েছে, যা দেশের সামরিক বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ সেনাবাহিনীর নীচের র‍্যাঙ্কগুলোর মধ্যে ২৮ শতাংশ পদ খালি থাকার কথা।

প্রতিরক্ষা কমিশনার এফা হ্যোগল একটি নতুন পরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা এই সংকট কাটানোর জন্য কার্যকর হতে পারে। তিনি মনে করছেন, ২০১১ সালে স্থগিত হওয়া পুরুষদের জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ পুনরায় চালু করাও কার্যকর হতে পারে, তবে একে আবার কার্যকর করার জন্য যথেষ্ট সুবিধা এবং প্রশিক্ষক নেই। এ মুহূর্তে, বুন্ডেসভেয়ার এমন পরিস্থিতিতে রয়েছে, যা এত বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম নয়।

বুন্ডেসভেয়ার সামরিক সেনা বাহিনী বর্তমানে কিছু উচ্চ র‍্যাঙ্কে ভালো অবস্থানে থাকলেও,

নিম্ন পদগুলির মধ্যে শূন্যপদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। ২০২৪ সালের মধ্যে সেসব পদ পূরণে বিশাল চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে, উচ্চ র‍্যাঙ্কের কর্মকর্তারা মনে করছেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন প্রয়োজন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ আক্রমণ শুরু করার পর থেকে জার্মানি তার সামরিক বাহিনীকে পুনঃসশস্ত্রীকরণ শুরু করেছে। বর্তমানে, জার্মানি তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে রয়েছে। এ কারণে, বার্লিনের প্রতিরক্ষা নীতিতে পরিবর্তন আরও জরুরি হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে, রক্ষণশীল সিডিইউ/সিএসইউ জোট এবং বামপন্থি এসপিডি আগামী সরকারের গঠন নিয়ে আলোচনা করছে। তারা যেমন অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকে নজর দিচ্ছে, তেমনি দেশের পরিকাঠামো এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপরও গুরুত্ব প্রদান করছে।

জার্মানির সামরিক বাহিনীর এই সংকট কাটাতে সরকারের পক্ষ থেকে নতুন উদ্যোগ প্রয়োজন, এবং এর মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো, প্রশিক্ষণ সুবিধার উন্নতি এবং পরিকাঠামোগত পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।

পড়ুন : ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে সেনাবাহিনী নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে : আইএসপিআর

দেখুন : হঠাৎ সেনা শাসনের ইঙ্গিত কেন দিলেন নাহিদ ইসলাম? | 

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন