১৪/০৬/২০২৫, ১৭:৪৪ অপরাহ্ণ
34.6 C
Dhaka
১৪/০৬/২০২৫, ১৭:৪৪ অপরাহ্ণ

নিউইয়র্কের হাডসন নদীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬

নিউইয়র্ক সিটির হাডসন নদীতে পর্যটকবাহী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন স্পেনের পাঁচজন একই পরিবারের সদস্য এবং হেলিকপ্টারের পাইলট। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস এ ঘটনাকে “হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক” বলে উল্লেখ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেলে লোয়ার ম্যানহাটনের কাছে হেলিকপ্টারটি নদীতে পড়ে যায়।

হেলিকপ্টারটি আকাশে প্রায় ১৬ মিনিট উড্ডয়ন শেষে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলিকপ্টারটি পড়ে যাওয়ার আগে অস্বাভাবিক শব্দ হয় এবং সেটির টুকরো ভেঙে পড়তে দেখা যায়। কেউ কেউ বলেন, এটি প্রায় ৪৫ ডিগ্রি কোণে নিচে নেমে আসে এবং পরে উল্টে পানিতে পড়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ড্যানি হরবিয়াক বলেন, “আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে পাঁচ-ছয়টি বিকট শব্দ শুনি, যেগুলো গুলির মতো লাগছিল।” অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী এরিক ক্যাম্পোভার্দ জানান, “হেলিকপ্টারটি হঠাৎ নিচে হেলে পড়ে এবং সোজা নদীতে গিয়ে পড়ে।”

মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি ছিল একটি বেল ২০৬ মডেলের, যা সাধারণত পর্যটকদের জন্য ব্যবহৃত হয়। স্থানীয় ও ফেডারেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি জর্জ ওয়াশিংটন ব্রিজের কাছে বাঁক নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়।

দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ছয়জনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে পরে সবাইকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ জানান, নিহতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি, কারণ পরিবারকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয়নি।

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ও জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড (এনটিএসবি) এই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি, তবে ভিডিও ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য তদন্তের কাজে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই দুর্ঘটনা নিউইয়র্ক শহরে পর্যটক চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

পড়ুন: ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

দেখুন: সাতক্ষীরায় নদী ভাঙনে ঈদ আনন্দ রূপ নিয়েছে বিষাদে |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন