১৫/০৬/২০২৫, ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ
27.9 C
Dhaka
১৫/০৬/২০২৫, ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ

৭ কলেজ নিয়ে করণীয় জানিয়ে ইউজিসিকে ঢাবির চিঠি

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিসহ প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, তা স্পষ্ট করে সাতটি করণীয় তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) চিঠি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজের কাছে এ চিঠি দেন।


চিঠিতে বলা হয়েছে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সাত কলেজ ইউজিসির প্রস্তাবিত একটি সমন্বিত তত্ত্বাবধানে চলবে। ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রমও এই কাঠামোর অধীনই পরিচালিত হবে, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু সহযোগী ভূমিকা পালন করবে।

ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, ৭ কলেজের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার আগে যে সাময়িক কাঠামোতে এসব কলেজের কাজ চলবে, তাতে এ কাঠামোর প্রধান হিসেবে কাজ করবেন ৭ কলেজের যেকোনো একজন অধ্যক্ষ। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর, ভর্তি দপ্তর, রেজিস্ট্রার দপ্তর ও হিসাব দপ্তরের প্রতিনিধিরাও থাকবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, নতুন শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন এবং সনদ দেওয়া হবে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামেই। ভবিষ্যতে যাতে কোনো বিভ্রান্তি না হয়, সে জন্য আগেই শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হবে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, চলমান শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মেই চলবে। তবে শিক্ষার্থীদের যেন আর প্রশাসনিক ভবনে যেতে না হয়, সে জন্য নিজ নিজ কলেজে হেল্প ডেস্ক খোলা হবে।

ঢাবি আরও সুপারিশ করেছে, ইউজিসির প্রস্তাবিত ‘নজরদারি সংস্থা’ শব্দটির পরিবর্তে ‘তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা’ ব্যবহার করা হোক। এ ছাড়া সাত কলেজের হিসাব ব্যবস্থাপনার জন্য একটি স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসাব খোলার বিষয়টিও চিঠিতে স্পষ্ট করা হয়েছে।

এ ছাড়া সাত কলেজ সংক্রান্ত যাবতীয় হিসাব পরিচালনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে স্বতন্ত্র হিসাব খোলা হবে, তাতেই চলমান শিক্ষাবর্ষের পরবর্তী আর্থিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

উল্লেখ্য, চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের শুরুতে এই সাত কলেজকে পৃথক করার ঘোষণা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

পড়ুন : অনলাইন জরিপ : ডাকসু নির্বাচন চান ঢাবির ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন