রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে হামলা ঘটনায় করা মামলায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহম্মদের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা গেছে, এদিন রিমান্ড শেষে নুরকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২১ জুলাই নুরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৮ জুলাই সেতু ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সেতু ভবনের কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সেতু ভবনের ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ‘গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করতে থাকেন। ওই দিন কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন আসামি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে সেতু ভবনের সামনে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। তারা সেতু ভবনের সিনিয়র সচিবসহ কর্মকর্তাদের খোঁজাখুঁজি করে হুমকি দেয় এবং ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে। পরে তারা ভবনে হামলা ও ভাঙচুর করে।’
‘এ সময় সেতু ভবনের পার্কিংয়ে থাকা ৩২টি জিপ গাড়ি, ৯টি পিকআপ, ৭টি মাইক্রোবাস, একটি মিনিবাস, ৫টি মোটরসাইকেল, একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিলে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়।’