পেটের মেদ কমাতে অনেকেই দৌড়ঝাঁপ করেন। আর সবচেয়ে কষ্টসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ হলো মেদ ঝরানো। তলপেটের মেদ ঝরানোর জন্য শরীরচর্চা অত্যন্ত জরুরি। ওজন কমাতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। বিশেষ করে পেটের মেদ কমাতে শরীরচর্চার পাশাপাশি শাকসবজিতে ভরসা রাখতেই পারেন। তাই পেটের মেদ কমাতে ভরসা রাখা যেতে পারে ৬ সবজিতে।
জেনে নিন তালিকা—
লাউ- লাউ ওজন নিয়ন্ত্রণে একটি আদর্শ খাবার। কারণ লাউয়ে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে, আর পানির পরিমাণ থাকে বেশি। বিভিন্ন ধরনের তরকারি রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি লাউ দিয়ে জুস বানিয়েও খেলে তা শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে।
কুমড়া- কুমড়ায়ও ক্যালোরি কম থাকে। অথচ বেশির ভাগ মানুষই কুমড়া খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু এই সবজি খেলে খুব কম সময়ে পেটের মেদ ঝরবে। কারণ এই সবজিতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। কুমড়ায় ফাইবার বেশি থাকার কারণে কুমড়া খেলে হজমশক্তির উন্নতি হবে। দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
ফুলকপি: পেটের মেদ কমাতে সহায়ক আরেকটি সবজি হলো ফুলকপি। ফুলকপিতে ক্যালরি কম থাকে, আঁশ বেশি থাকে। তাই ফুলকপি খেলে দ্রুত পেট ভরে যায়। ফুলকপিতে আছে ইনডোলের মতো বেশ কয়েকটি যৌগ। এসব যৌগ হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেটের মেদ কমায়। ভাতের বিকল্প হিসেবেও ফুলকপি খাওয়া যেতে পারে।
গাজর- গাজর খেলে পেটে জমে থাকা বাড়তি চর্বি বা মেদ খুব সহজে কমবে। গাজরের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। যদি কাঁচা গাজর খেতে পারেন তাহলে পেটের মেদ ঝরবে খুব কম সময়ে। তবে বেশি পরিমাণে কাঁচা গাজর খেলে আপনি পেটে ব্যাথা অনুভব করতে পারেন। অতএব গাজর খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকা ভালো।
ব্রকলি- ব্রকলি একটি অন্যতম স্বাস্থ্যকর খাবার। ব্রকলির মধ্যে একাধিক পুষ্টি উপকরণ রয়েছে। মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে ওজন কমাতে এই সবজি অত্যন্ত সাহায্য করে।
পালংশাক- পালংশাক খেলেও আপনার পেটে জমে থাকা মেদ খুব সহজে কমবে। এই শাক মেটাবলিজম রেট বাড়ায়। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন। পালংশাকে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই দুই উপকরণও পেটের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।