সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে দেশেও কিছু জায়গায় আজ উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। অনেক গ্রামে চলছে ঈদের আনুষ্ঠানিকতা। এসব জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে জামাতে অংশ নেন অনেক মুসল্লি। ঈদের নামাজ আদায়ের পর আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করেন তারা।
১৯২৮ সাল থেকে চালু হয় সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম। সেই থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকাতেও প্রচলিত আছে এই নিয়ম। সৌদির সাথে মিল রেখে তাই চলছে ঈদ উৎযাপন।
দক্ষিণ চট্টগ্রামে চন্দনাইশসহ প্রায় ৬০ গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আযহা। জাঁহাগিরিয়া শাহ ছুফি মমতাজিয়া দরবার ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা ঈদ করছেন।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়ও ঈদ উদযাপন ও পশু কোরবানি করেছেন জাহাগিরিয়া তরিকার অনুসারীরা। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে টাঙ্গাইলে ঈদ করছে ৫০টি পরিবার।
লক্ষ্মীপুরের ১১ গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ইদ-উল আযহা। হানাফি মাজহাব অনুসারে ঈদ পালন করছেন বলে জানান ইমাম ও মুসল্লিরা। ঈদ উদযাপিত হচ্ছে দিনাজপুরের দুই হাজার পরিবারেও।
শরীয়তপুরের ৩০টি গ্রামের প্রায় পঁচিশ হাজার মানুষ ঈদ উদযাপন করছেন। সুরেশ্বরী দরবার শরীফের অনুসারি তারা। পটুয়াখালীর ২৫ গ্রামে পালন হচ্ছে ঈদুল আযহা। হয়েছে কোরবানিও। মৌলভীবাজারেও ঈদের আমেজ। সার্কিট হাউস এলাকায় ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মাদারীপুরের ২৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ উদযাপন করছেন ঈদুল আযহা। সকাল সোয়া ৯টায় হয় ঈদের প্রধান জামাত। ঝালকাঠিতে সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদুল আজহার জামাত পড়েছেন ৪৫টি পরিবারের সদস্যরা। গাইবান্ধার সাদুলল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলার দুটি গ্রামে ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে। শেরপুরে ৭ গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপন হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন কয়েকটি গ্রামের মুসল্লিরা।