সিলেট অঞ্চলে বন্যার তীব্রতা কমেছে। তবে দেশের মধ্যাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। নদীর পাড় ভেগে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। কক্সবাজারের উখিয়ায় ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।
সিলেটে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৮ দশমিক ৪ মি.মি। কুশিয়ারা নদীর ৪ টি পয়েন্টে ও সুরমা নদীর কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ফেঞ্চুগঞ্জ, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও গোয়াইনঘাটের কিছু নিচু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
সুনামগঞ্জের সুরমা কুশিয়ারাসহ সবকটি নদী নদীর পানি কমছে। কিন্ত বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ রয়ে গেছে। মানুষের কাচাপাকা ঘর বাড়ি, আউশ ধান ও পুকুর ও গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, যারা এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন তাদের খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে, পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হবে।
উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরে যমুনা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই ও জিঞ্জিরামসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে।
দেওয়ানগঞ্জে ও মাদাগঞ্জের কয়েকটি ব্রিজ ও বাঁধের অংশ ধসে পড়ে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
কক্সবাজারের উখিয়ায় ৪ দিন একটানা প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে ৪ হাজার মানুষ। বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে, গ্রামীণ সড়ক ও কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া গাছপালা এবং পানের বরজ নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।