পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সদস্যকে বাদ দেওয়ার কারণে খুন হয়েছেন গ্রুপের অ্যাডমিন। ঘটনাটি ঘটেছে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে, যেখানে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শনিবার (৮ মার্চ) পুলিশ জানিয়েছে, পেশোয়ারে একটি কমিউনিটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে একজন সদস্যকে বের করে দেওয়ার পর, গ্রুপের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মুশতাক আহমেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার ঘটনায় আশফাক নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মুশতাক আহমেদকে বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় গুলি করে হত্যা করা হয়।

পুলিশ নথি ও এএফপি’র প্রতিবেদনের বরাতে জানা গেছে, মুশতাকের ভাই দাবি করেছেন, তার ভাই আশফাককে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়ার পর উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
তবে, উভয়েই মিলিত হওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, আশফাক রেগে গিয়ে বন্দুক নিয়ে এসে মুশতাককে গুলি করে হত্যা করেন। মুশতাকের ভাই জানান, “হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে অপসারণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আশফাক এই ঘটনা ঘটিয়েছে।”
এটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা, যেটি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এই প্রদেশে হোয়াটসঅ্যাপ রক্তাক্ত সহিংসতার আরও একটি উদাহরণ। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশ আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এবং এখানে প্রায়ই সহিংস ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এএফপি এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানে অস্ত্রের সহজলভ্যতা, উপজাতীয় প্রথার প্রভাব এবং দুর্বল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন ধরনের সহিংসতার কারণ হিসেবে কাজ করে থাকে।
এই হত্যাকাণ্ডটি সামাজিক মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপের মত জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের প্রভাবের পাশাপাশি, তাতে সৃষ্ট উত্তেজনা ও প্রতিক্রিয়ার বিপদকে সামনে নিয়ে আসে। বিশেষত, যেখানে সাদাসিধে বিতর্কও কখনো কখনো হত্যার মত গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
পাকিস্তানের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতা এবং অস্ত্রের সহজলভ্যতা কারণে, এই ধরনের ঘটনা পাকিস্তানে প্রায়ই ঘটছে। সরকার এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে এ ধরনের সহিংসতার প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে সামাজিক মাধ্যমের এমন উত্তেজনা কিংবা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব খুনের মত ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে না চলে যায়।
পড়ুন: ভিডিও কলে নতুন আপডেট নিয়ে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ
দেখুন: বার বার প্রস্রাব ইনফেকশন হওয়ার কারণ কী?
ইম/