১৪/০৬/২০২৫, ১৪:৪১ অপরাহ্ণ
35.3 C
Dhaka
১৪/০৬/২০২৫, ১৪:৪১ অপরাহ্ণ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৪৩

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) লাগাতার বিমান হামলায় আবারও প্রাণ হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার (১ মে) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই হামলায় নিহত হয়েছেন ৪৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৭ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরু হয়, যখন হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ মানুষকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই গাজায় শুরু হয় ইসরায়েলি প্রতিশোধ অভিযানের ভয়াবহ ধারা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত দেড় বছরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৪১৮ জন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১ জন। এই হতাহতদের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

টানা হামলার পর গত ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও, মাত্র দুই মাসের মধ্যেই তা ভেঙে আবারও অভিযান শুরু করে। ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার এই হামলায় নতুন করে ২ হাজার ৩০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৬ হাজারেরও বেশি।

এদিকে এখনও হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন ইসরায়েলের অন্তত ৩৫ জন জিম্মি। আইডিএফ জানিয়েছে, সামরিক অভিযান চালিয়েই এসব জিম্মিকে মুক্ত করা হবে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল না করা পর্যন্ত এবং সব জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত তারা অভিযান বন্ধ করবে না।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের এই সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে)-এ গণহত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ ও খাদ্যের অভাবে প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ।

পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩১ ফিলিস্তিনি

দেখুন: রকেট ছুড়ে ই/স/রা/য়ে/ল/কে জবাব দিচ্ছে হা/মা/স, হাই অ্যালার্টে ই/রা/নের সেনাবাহিনী |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন