দিনাজপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের শিকার সাজিয়া সুলতানা। এরপর ছেলে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরও বিয়ে না করায় শহরের উত্তর বালুবাড়ী এলাকার হাসিনুর রহমানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন তিনি। এতে বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলেও হাসিনুর রহমান কে গ্রেফতার করছে না কোতয়ালী থানা পুলিশ এমন অভিযোগ এনে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী এই নারী।
আজ রবিবার বেলা ১২ টার সময় দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন সাজিয়া সুলতানা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেছেন,প্রথম স্বামীর সাথে তালাকের পর হতে আমি ও আমার ছেলে শহরের লালুপাড়াস্থ বাবা ফারুক হোসেনের বাড়ীতে বসবাস করে আসছি। এই সুবাদে আমার বাড়ী সামনে শহরের উত্তর বালুবাড়ী এলাকার হাসিনুর রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চিটাগাং সপ ফ্যাক্টরী হওয়ার ফলে তার সাথে আমার পরিচয় হয়। এরপর আমাকে বিয়ে করবে বলে বার বার প্রস্তাব দেয়। এতে আমিও চিন্তা করি যে একা জীবন যাপন করার চেয়ে জীবন সঙ্গি নিয়ে জীবন যাপন করাটা বেশী ভাল হবে। তাই আমি তার কথায় রাজী হই। এবং ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর সে আমাকে বিয়ে করবে বলে ধর্ষন করেন। অতঃপর আমি গর্ভবর্তী হলে আমি তাকে বিয়ে করতে বললে সে আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে এবং আমার সাথে যোগযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে আমি নিরুপায় হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ৩৫৯/২০২৪ নাঃ শিঃ মামলা করি। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী থাকা স্বত্বেও কোতয়ালী থানা পুলিশ হাসিনুর রহমান কে গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, হাসিনুর রহমান ক্ষমতাবান ও ধনবান হওয়ার কারনে বিভিন্ন কৌশলে প্রকাশ্যে শহরের ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়াও সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে পরবর্তীতে বিয়ে না করায় আমি বর্তমানে সমাজে কলংকিত। এমনকি হাসিনুর রহমান তার স্ত্রীকে দিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। আরো মামলা মোকদ্দমা করার জন্য চেষ্টা করছে। আবার আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন এই হাসিনুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী সাজিয়া সুলতানার বাবা মোঃ ফারুক হোসেন।
পড়ুন: দিনাজপুরে গাবুড়া বাজারে জমে উঠেছে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাজার
দেখুন: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সুপেয় পানির সংকট, জনজীবন বিপর্যস্ত
ইম/